
আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩: বছর ঘুরে রমজান মাস আবারো আমাদের সামনে উপস্থিত। বছরের ১২ মাসের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হলো রমজান মাস। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো তার ইবাদত করা। রমজান মাসে সিয়াম পালন এবং বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহকে খুশি করতে পারি। তাই সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিকট রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল পাপকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর ইবাদত করার মাধ্যমে তার কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া। Read in English
সিয়াম ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্যে তৃতীয় এবং অন্যতম। সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে মাগরিব পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার নাম সিয়াম। এবং আমাদের উচিত রোজা থাকা অবস্থায় সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা। এবং এই সময়ে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইবাদত করা।
সিয়াম পালন বা রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহরি গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমাদের সেহরি সম্পন্ন করা উচিত। কেননা নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে এবং তখনও সেহরি করলে আমাদের সিয়াম দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে ধারণা রেখে আমরা অবশ্যই সুবহে সাদিকের পূর্বে সেহরি খাওয়া সম্পন্ন করব।
রমজান মাসের সময়সূচি ২০২৩
সিয়াম পালন করতে হলে অবশ্যই আমাদের প্রতিদিনের সেহরি এবং ইফতারের সময় সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কেননা আমাদের মনে রাখতে হবে অবশ্যই আমাদের সঠিক সময় সেহরি শেষ করতে হবে এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে।
অবস্থানের ভিত্তিতে প্রতিটি এলাকার সেহরি এবং ইফতারের সময়সূচিতে ভিন্নতা থাকে। মূলত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা কে কেন্দ্র করেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সেহরি ও ইফতারের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়ে থাকে।
Today Sehri and Iftar Time 2023 (64 Districts including Dhaka)
ঢাকা জেলা কেন্দ্রিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি থেকেই নির্দিষ্ট কিছু মিনিট যোগ অথবা বিয়োগ করার মাধ্যমে দেশের অন্যান্য সকল জেলা সমূহের সেহরীর সময়সূচী এবং ইফতারের সময় জানা যায়।
আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৩ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে ১৪৪৪ হিজরি রমজান মাস শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ উত্তর দিন থেকে আমাদের রোজা পালন শুরু হবে। আর তাই আমরা নির্দিষ্ট সময়ে সেহরি এবং ইফতার করার মাধ্যমে রোজা পালন করব।
প্রতিদিনের সেহরির শেষ সময় পরিবর্তন হয়। নির্দিষ্ট সেহরি ক্যালেন্ডার থেকে আমরা প্রতিদিনের সেহরির শেষ সময় জানতে পারি। বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার সেহরির শেষ সময় ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত নির্দিষ্ট জেলার স্থানীয় সময় অনুযায়ী তৈরি ক্যালেন্ডার থেকে প্রতিদিনের সেহরির শেষ সময় জেনে নেওয়া। Source: islamicfoundation.gov.bd
আমাদের পাঠকদের জন্য আমরা বাংলাদেশের ৬৪ জেলার সকল মুসলিমদের জন্য আজকের সেহরির শেষ সময় উল্লেখ করেছি। তালিকা থেকে আপনারা খুব সহজেই আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩ জেনে নিতে পারবেন।
জেলা ভিত্তিক সেহরির শেষ সময় ২০২৩
ঢাকা জেলার স্থানীয় সময় অনুযায়ী তৈরি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সেহরি ও ইফতার ক্যালেন্ডার ২০২৩ থেকেই আমরা অন্যান্য 63 টি জেলার সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের নির্দিষ্ট সময় বের করতে পারি। আমাদের পাঠকদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক তৈরি সেহরির শেষ সময় এবং ইফতারের সময় তালিকা ২০২৩ উল্লেখ করা হয়েছে।
এইটা লেখা থেকেই আপনার জেলার স্থানীয় সময় অনুযায়ী আজকের সেহরির শেষ সময় ২০২৩ সংগ্রহ করতে পারবেন। লিস্ট থেকে তথ্য জেনে নিয়ে ঢাকার নির্দিষ্ট সময় থেকে কয়েক মিনিট যোগ অথবা বিয়োগ করার মাধ্যমে আপনার জেলার আজকের সেহরির শেষ সময় জানতে পারবেন।
রোজার নিয়ত ও সেহরির দোয়া
নিয়ত অর্থ ইচ্ছা, সংকল্প। অর্থাৎ আমরা সিয়াম পালনের ইচ্ছা করলেই রোজার নিয়ত হয়ে যায়। সেহরির পরে আমরা অবশ্যই নিচের দোয়া পড়বো।
সেহরির দোয়া: نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুম্মা গাদাম মিন্ শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদাল্লাকা, ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস্ সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র মাহে রমজানের নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। অতএব তুমি আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
রমজান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বলে শেষ করা যাবে না। রাসূল (সা) সব সময় এই মাসকে ১২ মাসের মধ্যে সেরা মাস বলেছেন। আমরা অবশ্যই রমজান মাসকে যথাযথ গুরুত্ব দিব। এই মাসে ৩০ টি রোজা পালনের সাথে সাথে বেশি বেশি আল্লাহর ইবাদত করব।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল পাপকে এই মাসে ক্ষমা করার কথা বলেছেন। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বেশি বেশি ইবাদত করলে আল্লাহ আমাদের সকল পাপকে ক্ষমা করে দিবেন। তাই অবশ্যই আমরা ৩০ টি সিয়াম পালনের চেষ্টা করব এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করব। এবং বেশি বেশি ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে আমাদের পাপগুলোকে কমিয়ে নিব।