নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে?
নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে? আজকের এই আলোচনা থেকে বিস্তারিত জানুন। সকল তথ্য আজকে উল্লেখ করা হলো।

নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে: বিশ্বের সর্ববৃহৎ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হল নাসা বা ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন। এটি সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি স্বাধীন সংস্থা। এই সংস্থাটি সর্বপ্রথম তার আত্মপ্রকাশ করে 1915 সালে এবং সেই সময় থেকে 1958 সালে পর্যন্ত ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স নামে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বের মহাকাশ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। Read in English
Make Money Online With Mobile 2022
প্রতিদিন ফ্রি ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জ করুন অথবা বিকাশে টাকা নিন
এই নাসার হাত ধরেই 1969 সালে সর্বপ্রথম চাঁদে পা রাখা সম্ভব হয়েছে। নাসার তত্ত্বাবধানে 1969 সালে চন্দ্র অভিযান সফল হয়। নাসার বিজ্ঞানীদের এই সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। যে অর্থ মূলত আসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বাজেট থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রতিবছর নাসাকে দেয়া হয়। আমাদের আজকের আলোচনার মূল বিষয় এটি। নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসে? এ সংক্রান্ত সকল তথ্য সমূহ আজকের এই আলোচনায় জানাবো।
নাসার বিজ্ঞানীদের অর্থের যোগান
নাসা যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন একটি সংস্থা তাই এর কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর যে বাজেট নির্ধারণ করা হয় সেই বাজেট থেকে একটি নির্দিষ্ট অংশ নাসার বিজ্ঞানীদের হাতে প্রদান করা হয়। এই অর্থ থেকেই নাসা তাদের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার নাসাকে বিভিন্ন পরিমাণ অংশীদারিত্ব দিয়েছে। 1966 সালে সর্বোচ্চ অংশীদারিত্ব দেয়া হয়। বর্তমানে নাসা তাদের এই পরিমাণ অর্থ থেকে পৃথিবীর কল্যাণে বিজ্ঞানের নানা কার্যক্রম উন্মোচিত করছে।
বৃষ্টির আগে আকাশের রং কালো দেখায় কেন?
যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ও নাসার প্রাপ্য
1966 সালে অ্যাপোলো প্রোগ্রাম চলাকালীন অবস্থায় আমেরিকার মূল বাজেটের 4.41 শতাংশ নাসার জন্য নির্ধারণ করা ছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। 1975 সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট বাজেটের 1% নাসার গবেষণামূলক কাজে ব্যয় করার জন্য প্রদান করা হয়। এরপর থেকে নাসার অর্থের যোগান শতাংশের পরিমাণ কমতে থাকে। 2006 সালে নাসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মোট বাজেটের .50 শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর রাষ্ট্রপ্রধান গণ নাসার উন্নতিতে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন। 2017 সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প নাসার ট্রানজেকশন অথোরাইজেশন অ্যাক্ট এ স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে বলা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট থেকে মোট 19.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার নাসার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী নাসা প্রতিবছর মার্কিন সরকারের নিকট থেকে 22.62 বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়ে থাকে।
নাসার গবেষণার ফলাফল কি?
অনেক সময় আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে এই যে নাস্তা এত টাকা খরচ করে এত গবেষনা করে তার ফলাফল কি? অর্থাৎ এই গবেষণার ফলে নাসা কি পায়? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমরা আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে প্রদান করছি। মহাকাশ সম্পর্কিত নানা নতুন তথ্য উদঘাটনে নাসা নিরলস কাজ করে চলছে। সম্প্রতি নাসার সর্বপ্রথম ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে।
যেহেতু নাসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ অধিকারী একটি সংস্থা। তাই এ সকল কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্পূর্ণভাবে নাসার কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিনিয়ত ও নাসায়ী অবস্থানরত বিজ্ঞানীগণ নতুন নতুন আবিষ্কার করে চলছে।
নাসা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নেই চলে এমনটা কিন্তু নয়। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান, কোম্পানির অর্থায়নে নাসা পরিচালিত হয়ে থাকে।
করোনা মহামারীতে নাসার ওপর প্রভাব
করোনা কালীন সময়ে সারা বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছিল সেই প্রভাব নাসার উপরেও পরে। নাসার বিজ্ঞানীদের বা তাদের গবেষণারও অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায় এই সময়ে। সারা বিশ্ব যখন করোনা মহামারীতে বন্ধ হয়ে গেছিল সেই সময়ে নাসারাদের কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুরোধ করে। নাসার সকল প্রকার গবেষণা এবং সমস্ত ফ্রিজ সেন্টার এবং ভিজিটর বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বেশ কিছু গবেষণার স্পেস লোন সিস্টেম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
যেসকল বিজ্ঞানীগণ সেইসময় অনাচার বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত বিষয় জোরদার করা হয়। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। এবং শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র নয় পৃথিবীর সকল দেশের নাম ধরে বিজ্ঞানীগণ নাসার গবেষণা কাজের সাথে সম্পর্কিত।
নাসার উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার সমূহ
নাসা প্রতিনিয়ত মহাবিশ্বের সকল মানব জাতির কল্যাণে তাদের সকল গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত নাসা কিছু উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম সম্পাদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চালু হওয়ার পর থেকে উল্লেখযোগ্য সব কাজ করে আসছে।
সম্প্রতি নাসা মহাকাশে প্রায় 100 টি বেবি স্কুইড পাঠাবে বলে গবেষণা চালাচ্ছে। এছাড়াও তারা একইসাথে 5000 আণুবীক্ষণিক জীব মহাকাশে পাঠাবে। সম্প্রতি নাসার তাদের একটি স্পেস ক্রাফট এ অন্যান্য কিছু যন্ত্রের সাথে এ বেবি স্কুইড গুলো প্রেরণ করবে।
মহাকাশ এবং জীবনের সম্পর্ক সম্বন্ধে আরও গবেষণা চালাতে এই পরীক্ষাটি তাদের সাহায্য করবে। দীর্ঘসময় মহাকাশে থাকার ফলে নভোচারীদের শরীরে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এই ধরনের পরীক্ষা গুলো থেকে।
তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট