Islam

ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখ। কোরবানির ঈদ কত তারিখে

ঈদুল আযহা ২০২৩ এর তারিখ দেখুন।

পবিত্র ঈদুল আযহা ২০২৩ কত তারিখে হবে তা নিশ্চিত করা গেছে। ঈদুল আযহার সম্ভাব্য তারিখ গণনা করে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য সকল দেশের জ্যোতির্বিদরা তাদের গণনা অনুযায়ী কত তারিখে ঈদুল আযহা ২০২৩ উদযাপন হবে তা জানিয়েছে। সম্ভাব্য হিসেবে ১৯ জুন জিলহজ মাসের প্রথম দিন হবে। Read in English

যেহেতু আরবি মাস সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল তাই চাঁদের ওপর নির্ভর করে এই দিন আগে বা পরে হতে পারে। যদি ১৯ জুন জিলহজ মাসের প্রথম দিন হয় তাহলে সৌদি আরবে আরাফার দিন হবে ২৭ জুন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহ ঈদুল আযহা উদযাপন হবে ২৮ জুন ২০২৩ তারিখে।

যেহেতু সৌদি আরবের একদিন পরে ঈদ উদযাপন করা হয়ে থাকে অর্থাৎ চাঁদ দেখার উপর ভিত্তিতে ২৯ জুন ২০২৩ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ঈদুল আযহা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদুল আযহা ২০২৩

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল দেশে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ঈদ উল আযহা উদযাপন করা হয়। অর্থাৎ সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হলেও নির্দিষ্ট দিন চাঁদের ওপর নির্ভর করবে।

ঈদুল আযহা ২০২৩

তবে যেহেতু জ্যোতির্বিদরা যে তারিখ ঘোষণা করে থাকেন প্রায় সময় সেই দিনেই চাঁদ উঠে এবং ঈদ উদযাপন করা হয় তাই বলা যায় আগামী ২৯ জুন ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশে ঈদুল আযহা উদযাপন করা হবে।

Eid Mehedi Design 2023। Mehedi Design Picture 2023

কোরবানির ঈদ ২০২৩ কত তারিখে

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য সকল দেশগুলোতে ২৮ জুন ২০২৩ তারিখ ঈদুল আযহা উদযাপন হবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা। বিশ্বের মুসলিম গরিষ্ঠ দেশগুলোতে বিভিন্ন জ্যোতির্বিদদের বৈঠকে এ সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সমূহের একদিন পরে বাংলাদেশে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে।

অর্থাৎ আমরা বলতে পারি আগামী ২৯ জন ২০২৩ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

কোরবানির ঈদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মুসলিম সম্প্রদায়ের দুটি বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে কোরবানির ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আযহা অন্যতম। কোরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। সামর্থ্যবান সকল মুসলিমের ওপর কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে।

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় “আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের আশায় নির্ধারিত তারিখের মধ্যে হালাল কোনো পশু আল্লাহর নামে যবেহ করাকেই কোরবানি বলা হয়।”

পৃথিবী সৃষ্টির লগ্ন অর্থাৎ হযরত আদম (আ)  এর সময় থেকে কুরবানী চলে আসছে। আদম (আ) এর সন্তান হাবিল কাবিল এর মধ্যে বিবাহ সাদি নিয়ে যখন মতানৈক্য দেখা দিল তখন আল্লাহ তাদের ইখলাসের সঙ্গে হালাল পশু কোরবানি করেন নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে হযরত ইব্রাহিম (আ) আল্লাহর নির্দেশে তার প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ) কে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত হন। তবে আল্লাহর মহিমায় তিনি তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি দুম্বা যবেহ করেন।

এরপর থেকেই মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে আহলাল পশু কুরবানী করে থাকেন।

Eid Mubarak HD Pictures, Image and Wallpaper Download। Eid Mubarak 2023

কোরবানি সুন্নাত নাকি ওয়াজিব?

কুরবানী ইসলামের শরীয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবাদত এবং কুরআন ও হাদিসে এর অপারেশন গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে। কুরবানী অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তবে কুরবানী সকলের জন্য নয়। যার সামর্থ্য রয়েছে শুধুমাত্র তার জন্যই কুরবানী। তবে কখনোই কুরবানী কে ফরজ মনে করা যাবে না।

আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) একদা বলেছেন “সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করল না সে যেন ঈদগাহে না আসে”

অর্থাৎ এখান থেকে বোঝা যায় কুরবানী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই কুরবানী দিতে হবে। তবে সামর্থ্য না থাকলে এবং কুরবানী দিতে না পারলে মন খারাপ করা যাবে না। কারণ এটি ফরজ নয়।

কতদিন কুরবানী করা যায়?

ইসলামী পরিভাষায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হালাল পশু কুরবানী করা যায়। তবে অবশ্যই জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ সকালে ঈদের নামাজের পরে কুরবানী করতে হবে।

ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানি গ্রহণযোগ্য হবে না। কোরবানি হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। মৌলিকতা বা সামাজিকতার উদ্দেশ্য নয়। লাখ টাকার গরু দিয়ে লোক দেখানোর জন্য কোরবানি দিলে তা কবুল হবে না।

 কুরবানী সম্পর্কে আল্লাহতালা সূরা হজ্জ এর ৩৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করেন-

” আল্লাহর কাছে ওদের গোস্ত-রক্ত কিছুই পৌঁছায় না; বরং পৌছায় তার কাছে তোমাদের তাকওয়া।”

পশু কোরবানির দোয়া

পশু কোরবানির জন্য আল্লাহ তা’আলা নির্দিষ্ট দোয়া বলে দিয়েছেন। আমাদের পাঠকদের সুবিধার্থে উত্তর দোয়াটি নিচে উল্লেখ করা হলো-

পশু কোরবানির দোয়া

উচ্চারণ: ‘ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওয়াজ হিয়া লিল্লাযি ফাতারাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকিন। ইন্না সালাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহ ইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রাবিবল আলামিন। লা শারিকা লাহু ওয়া বিজালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমিন। আল্লাহুম্মা মিনকা ওয়ালাকা…বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার।

অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমি দৃঢ়ভাবে সেই মহান সত্তার অভিমুখী হলাম, যিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নই। নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ—সবই বিশ্ব প্রতিপালক মহান আল্লাহর জন্য নিবেদিত। তাঁর কোনো শরিক নেই।

Akash

I am Akash Mahmud and I am a Graduate. I love to write articles. I am friendly and helpful. You will get your required information here. Keep Supporting Us.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button

Adblock Detected

Please Turn Off Adblocker to Get Your Information