সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ঃ এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বছরই সোনালী ব্যাংক কর্তৃক শিক্ষাবৃত্তি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। এসএসসি এবং এইচএসসি উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের এই ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে। সম্প্রতি এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। একই সাথে সোনালী ব্যাংক কর্তৃক এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৬ ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ তারিখ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বোর্ডের অধীনস্থ শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ফলাফল প্রকাশ করে। সোনালী ব্যাংক কর্তৃক প্রতিবছর গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।
আপনি যদি এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন এবং স্কলারশিপ পেতে চান তাহলে আপনাকে আবেদন করতে হবে।সাধারণত যে সকল শিক্ষার্থীরা মেধাবী কিন্তু পড়াশোনার খরচ চালাতে অক্ষম বা দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে তাদেরকে সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে যায় শুধুমাত্র পড়াশোনার খরচ চালাতে না পারার কারণে। তাই প্রতিবছর সোনালী ব্যাংক সে সকল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে স্কলারশিপ প্রদান করে।
বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যাংক হল সোনালী ব্যাংক। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। আমরা সকলেই জানি যে বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীরা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এবং এই দারিদ্রতার কারণে তাদের শিক্ষার খরচ চালাতে পারেনা। আবেদনকারী সকল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই টাকা প্রদান করে। এবং সেই সকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের পড়াশোনার খরচ চালাতে সক্ষম হয়।
সোনালী ব্যাংক গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। এবং শুধুমাত্র সেই কারণেই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাছাই করে যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান শুধুমাত্র দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।
আপনি যদি সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে। আমাদের আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ পাওয়ার জন্য আবেদন কার্যক্রম ও পদ্ধতি সমূহ সম্পর্কে জানাবো।
সোনালী ব্যাংক শিক্ষা স্কলারশিপ ২০২২
এসএসসি এবং এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সোনালী ব্যাংক কর্তৃক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। নির্ধারিত কিছু পদ্ধতি অনুযায়ী সোনালী ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য যোগ্য শিক্ষার্থী বাছাই করে থাকে। অবশ্যই আপনি যদি একজন এসএসসি অথবা এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী হন তাহলে শিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার লক্ষ্যে আপনাকে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের জন্য সোনালী ব্যাংক নিম্নোক্ত তথ্যগুলো যাচাই করে থাকে।
অবশ্যই শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
অভিভাবকের মাসিক ইনকাম অবশ্যই ১৫,০০০ টাকা থেকে কম হতে হবে। এবং
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নির্ধারিত জিপিএ প্রাপ্ত হতে হবে। জিপিএ সংক্রান্ত বিষয়টি নিচে প্রদান করা হলো।
সাধারণ শিক্ষার্থী: GPA 5.
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী: GPA 3.5.
সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ এমাউন্ট ২০২২
এসএসসি এবং এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সোনালী ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। এসএসসি ২০২১ এবং এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সকল শিক্ষার্থীদের পারিবারিক ইনকাম ১৫,০০০ টাকা থেকে কম তারাই শিক্ষা বৃত্তি পাবার যোগ্য হবে। এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার পদ্ধতি এবং অনলাইনে আবেদনের অফিশিয়াল লিংক নিচে দেয়া হয়েছে। আবেদন সম্পন্ন হলে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তা যাচাই-বাছাই করে স্কলারশিপ এর ফলাফল প্রদান করবে। প্রদত্ত লিংকে প্রবেশ করে আবেদন করা যাবে এবং পরবর্তীতে এক লিংক থেকে স্কলারশিপ এর ফলাফল জানা যাবে
সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ সার্কুলার ২০২২
এসএসসি এবং এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। এই সার্কুলারে শিক্ষাবৃত্ত সম্পর্কিত সকল তথ্য সমূহ বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, স্কলারশিপ পাওয়ার লক্ষ্যে সকল এসএসসি এবং এইচএসসি উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন করতে হবে। সোনালী ব্যাংক বাংলাদেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি হল www.sonalibank.com.bd। সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ এর পক্ষে শিক্ষার্থীদের ১০,০০০ টাকা এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
সোনালী ব্যাংক স্কলারশিপ ২০২২ এর জন্য কিভাবে আবেদন করবেন।
অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা হলে পরবর্তীতে ওয়েবসাইটে প্রাথমিকভাবে মনোনীত সকল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রদান করা হবে। প্রাথমিকভাবে মনোনীত আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর মনিন্দ্র শিক্ষার্থীকে অবশ্যই নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র সত্যায়িত করে সরবরাহ করতে হবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে মনোনীত আবেদনকারী কর্তৃক প্রেরিত অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অধ্যায়ন সনদ।
একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
নাগরিকত্ব সনদ
ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন হতে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের মাসিক আয়ের সংক্রান্ত প্রত্যয়ন পত্র। অবশ্যই অভিভাবকের পেশা ও মাসিক আয় উল্লেখ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সত্যায়িত প্রতিবন্ধী সনদ
কোন প্রকার অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাতিল করা হবে। এবং বৃত্তি মনে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
I am Akash Mahmud and I am a Graduate. I love to write articles. I am friendly and helpful. You will get your required information here. Keep Supporting Us.
